ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দিনে ছ’বার খেয়েও এত ফিট কীভাবে রোনালদো!

যদিও এবার সেমির আগেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছেন পর্তুগালের তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে একেবারেই কি খালি হাতে ফিরলেন তিনি? টানা পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করা খেলোয়াড় হিসেবে তাঁর নাম জায়গা করে নিয়েছে ইতিহাসে। প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলেন ২০০৬ সালে। এখনো তিনি টগবগে তরুণ। কীভাবে তারুণ্য ধরে রাখেন তিনি?

কয়েকটি সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায় রোনালদোর সুস্বাস্থ্য ও ফিটনেসের বিভিন্ন কৌশলের কথা। রোনালদো এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘প্রশিক্ষণের সময় শুরুতে আমরা কিছুটা দৌড়ানো, স্ট্রেচিং আর কার্ডিও ওয়ার্মআপের ব্যায়াম করি।’ ইনজুরি ঝুঁকি কমাতে এমনটা করা হয়। তাঁর ভাষ্যে, ‘প্রশিক্ষণের শুরুতে অবশ্যই এমন কিছু করা উচিত। জিমে জগিং করে, ট্রেডমিল বা সাইকেল চালিয়ে শরীর গরম করে নিতে হবে।’

রোনালদো জিমে কার্ডিওভাস্কুলার ট্রেনিংয়ের অংশ হিসেবে দৌড় আর ওজন নিয়ে চর্চা করেন বেশি। তাঁর মতে, শরীরের সব অংশকে গুরুত্ব দিয়ে স্ট্যামিনা বাড়াতে হয়। মাঠে রোনালদো সতীর্থদের সঙ্গে নানা ধরনের উচ্চমাত্রার ব্যায়ামের দিকে বেশি জোর দেন। তাঁর পরামর্শ, ‘প্রশিক্ষণের সময় আমরা দৌড়নির্ভর বিভিন্ন ড্রিলে অংশ নিই। জিম হোক, কিংবা মাঠে—সব মিলিয়ে নিজের ওয়ার্কআউট প্ল্যান করতে হবে। চেষ্টা করুন সব ওয়ার্কআউটে দৌড়ের মতো রোমাঞ্চকর বিষয় রাখতে। সুযোগ পেলেই ব্যায়াম করুন। বাইরে যেতে না পারলে নিজের শোবার ঘরে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কিংবা রাতে ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করতে পারেন। আপনি যদি একটি রুটিনে অভ্যস্ত হন, তাহলে সেটা দ্রুত অভ্যাসে পরিণত করতে পারবেন।’

রোনালদো মনে করেন, কার্যকর ব্যায়ামের সঙ্গে ভালো ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে তিনি প্রচুর উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খান। তালিকায় থাকে হোল গ্রেইন কার্বস, ফল ও সবজি। যেকোনো চিনিনির্ভর খাবার এড়িয়ে চলেন সব সময়।

জানা যায়, রিয়াল মাদ্রিদে থাকার সময় রোনালদো দিনে ছয়বার খাবার খেতেন। তিন থেকে চার ঘণ্টা পর পর নিয়ম করে খাবার খান তিনি। রোনালদো মাছ খেতে পছন্দ করেন। সোর্ডফিশ, সি ব্যাস, সি ব্রিম মাছ তাঁর বেশ পছন্দ । কড মাছের তৈরি ব্যাকালা নামের খাবার পছন্দ করেন তিনি। কড মাছ, পেঁয়াজ, আলু আর ডিম দিয়ে তৈরি হয় এই খাবার। রেস্তোরাঁয় খাবার সময় স্টেক ও সালাদ অর্ডার করেন তিনি। ফ্রোজেন খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলেন। সকালের খাবার হিসেবে পনির, টক দই ও অ্যাভোকাডো টোস্ট পছন্দ করেন। রোনালদোর ভাষ্য, ‘আপনি যদি নিয়মিত প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকেন, তাহলে শরীরের কার্যক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য আপনাকে শক্তি অর্জন করতে হবে।’

>>>  জাতিসংঘ ও এডিবি বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে
ফিট থাকতে কঠোর পরিশ্রম করেন এই তারকা
ফিট থাকতে কঠোর পরিশ্রম করেন এই তারকা

স্বাস্থ্য সচেতন রোনালদো

হাইড্রেশন বা শরীরকে জলীয় রাখার বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব দেন রোনালদো। পানি পান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২১ সালে একটি সংবাদ সম্মেলনে কোমল পানীয়র বোতল সামনে থেকে সরিয়ে ‘পানি পান করুন’ মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। নিজের মনের জোরকে গুরুত্ব দেন এই তারকা ফুটবলার। তাঁর ভাষ্যে, ‘শরীরের মতো মনকে প্রশিক্ষিত করতে শিখুন। মানসিক দৃঢ়তা শুধু শারীরিক সক্ষমতার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্যও দরকারি। নিয়মের মধ্যে থাকুন। নিজের রুটিন অনুসরণ করা ও নিজেকে উৎসাহিত করে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। আমি পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে অবসর কাটাই, যা আমাকে বিশ্রাম দেয়, মনের ইতিবাচক বিকাশ ঘটায়।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :