ঢাকা, সোমবার, ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গণসমাবেশ নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী বিএনপি

নয়াপল্টনে জনসভার ঘোষণার পর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শেষে ১০ ডিসেম্বরের জনসভাস্থল নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছে বিএনপি।

আজ বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর ) বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের সবশেষ এই অবস্থান ঘোষণা করেন ফখরুল।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন আরো বলেছেন, ‘আর সরকার যদি এর মধ্যে বিকল্প কিছু নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই।’

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারদিকে দেয়াল আর নানা স্থাপনার কারণে সেটি আর বড় সমাবেশ করার উপযোগী নয় বলেও মনে করেন বিএনপি নেতা।

বিএনপির ঘোষিত সমাবেশ হবেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সাংবিধানিক অধিকারের সহিত ঢাকায় সমাবেশ করব।’

এই সমাবেশস্থল হিসেবে বিএনপির প্রথম চাওয়া এখনও নয়াপল্টনই বলে জানান ফখরুল। বলেন, ‘আমরা তো বলছিই, নয়াপল্টনকে সমাবেশের জন্য জায়গা করে দেন। নয় তো এর দায় সম্পূর্ণভাবে সরকারের।’

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরাকরের দবিতে গত ৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি বিভাগীয় শহরগুলোতে ধারাবাহিক যে সমাবেশ করছে, তার শেষ কর্মসূচি হিসেবে রাজধানীর এই জমায়েতের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

আগের সমাবেশগুলো নির্বিঘ্নে হলেও রাজধানীর সমাবেশস্থল নিয়েই তৈরি হয়েছে বিরোধ। বিএনপি সেদিন জমায়েত হতে চায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, যেখানে যেতে আপত্তি আছে দলটির।

নয়াপল্টন না পেলে আরামবাগে অনুমতি দিতে বিএনপির মৌখিক অনুরোধ মৌখিকভাবেই ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়েছে, গ্রহণযোগ্য বিকল্প স্থানের প্রস্তাব দেয়া না হলে সমাবেশ হবে নয়াপল্টনেই।

গতকাল দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি যেখানে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে, সেখানেই হবে সমাবেশ। গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রস্তাব করতে চাইলে সেটা করতে হবে আওয়ামী লীগ ও সরকারকেই। তিনি বলেন, ‘পুলিশের কাজ পুলিশ করবে, বিএনপির কাজ বিএনপি।’

>>>  দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার হতে ১৪ সেপ্টেম্বরের পর আবেদন নয়

তার এই বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ। নয়াপল্টনের সামনের সড়কে জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। প্রাণ হারায় একজন, পুলিশ গ্রেপ্তার করে সাড়ে চার’শ ব্যক্তিকে। দলীয় কার্যালয়ে চালানো হয় অভিযান, জব্দ করা হয় চাল, ডাল, তেল, মসলা এবং রান্না করা কয়েক ডেকচি খিচুড়ি।

সংঘর্ষের পর মির্জা ফখরুল নয়াপল্টনে গিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে বসে থাকেন সাড়ে তিন ঘণ্টা। পরদিন আজ বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) সকালে তিনি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাকে বিজয়নগরেই আটকে দেয়া।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

সর্বশেষ

এই বিভাগের সর্বশেষ

সর্বশেষ :